
সড়কের খানাখন্দ-গর্তে বেড়েছে দুর্ভোগ, বিপাকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী নগরবাসী
টানা বৃষ্টিতে রাজধানী জুড়ে জলাবদ্ধতা
- আপলোড সময় : ১০-০৭-২০২৫ ১০:২০:০৫ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১০-০৭-২০২৫ ১০:২০:০৫ পূর্বাহ্ন


টানা দুদিনের বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিন সকাল থেকে থেমে থেমে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার কখনো ভারী বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অনেক এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতা, যানজট ও রাস্তায় পানি জমে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। এছাড়াও প্রধান সড়ক-অলিগলিতে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে বেড়েছে দুর্ভোগ। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষসহ ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত গতকাল বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফলে নগরের বেশির ভাগ এলাকায় রাস্তায় পানি জমে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় পানি জমে একাকার হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতি বছর বেশকিছু প্রকল্প ও কর্মসূচি নেওয়া হলেও কার্যকর অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। সিটি কর্পোরেশনগুলো প্রতিবার বিপুল অর্থ বরাদ্দ দিলেও বাস্তবচিত্র প্রায় একই রকম থাকে। মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, খাল ও জলাশয় দখল এবং দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা আরও ভয়াবহ হতে পারে, যা নগর-দুর্যোগে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, একসময় ঢাকার প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল এর চারপাশের নদী ও অসংখ্য খাল। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও ভূমিদস্যুদের আগ্রাসনে অধিকাংশ খাল হয় বেদখল হয়ে গেছে, নয়তো ভরাট হয়ে সরু নালার আকার ধারণ করেছে। ঢাকার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার পেছনে প্রধানত দায়ী অপরিকল্পিত নগরায়ণ, প্রাকৃতিক খাল ও জলাধার দখল, ভরাট এবং দুর্বল পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো। তবে গবেষণা বলছে, বর্তমানে ৫৪টি চিহ্নিত খালের মধ্যে অন্তত ২৬টি রয়েছে অবৈধ দখলে। ফলে বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে শহরেই জমে থাকছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, মাত্র ১৫টি দখল হওয়া খাল পুনরুদ্ধার করা গেলে ঢাকার জলাবদ্ধতার ৮০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, পুরান ঢাকার ওয়ারী, মালিবাগ-যাত্রাবাড়ি-ডেমরা,কদমতলী ও মুগদা, সবুজবাগ-বাসাবো, হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও নারিন্দা, দয়াগঞ্জ, টিকাটুলি, স্বামীবাগ ও গেন্ডারিয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডিএসসিসির ৬৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল মঈন। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অফিসে গিয়েছি। এখন আবার ভিজতে ভিজতে এলাম। এতে ঠান্ডা-জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, এমন চলতে থাকলে নতুন রাস্তায় কোমর পর্যন্ত পানি উঠতে দেরি হবে না। এতে ভোগান্তি আরও বাড়বে। সামসুল হক খান স্কুল এণ্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শারফিন নাহার সাইফা বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কলেজ শেষ করে বাসার দিকে যাচ্ছে। যদিও সে বৃষ্টিতে ভেজা আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করছেন বলে জানান। সে কখনো দুই হাত তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টির ছোঁয়া নিচ্ছেন, আবার কখনো দুই হাতে বৃষ্টির পানি ধরে আলতো করে মুখে দিচ্ছেন। তিনি জানান, আমার বৃষ্টিতে ভিজতে খুবই ভালো লাগে। বাসায় গেলে মা বকবেন ঠিকই, তবুও বৃষ্টিতে ভিজেছি। ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. মামুন বলেন, এই এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে আছে। পানি চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। মানুষের চলা-ফেরাতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। সিটি করপোরেশনের লোকেরা এলেও বারবার এই সমস্যাটা হয়। এর স্থায়ী কোনও সমাধান হচ্ছে না। পুরান ঢাকার বংশাল এলাকার বাসিন্দা তৌফিক হাসান বলেন, জলাবদ্ধতা আর যানজট নগরজীবন অতিষ্ঠ লাগছে। রাজধানীর কোন জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হলেও বংশালে জলাবদ্ধতা হবেই। গত কয়েকবছর ধরে জলাবদ্ধতায় আমরা নাকানিচোবানি খাচ্ছি। তবুও সিটি করপোরেশন থেকে এই জলাবদ্ধতা নিরসনে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে খাল উদ্ধার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পরিকল্পিত ব্যবস্থা না নিলে ঢাকায় স্বাভাবিক নগরজীবন আগামীতে আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সড়কে জলাবদ্ধতা হওয়ায় বিপাকে পড়তে দেখা গেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষকে। কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী নিয়াজ আহমেদ বলেন, অল্প বৃষ্টিতেই গেন্ডারিয়ার অলিগলি তলিয়ে যায়। প্রতিবছর বর্ষাকালে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। গলির মধ্যে হাঁটু পর্যন্ত পানি থাকে। কলেজের ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়। অসম্ভব বিরক্তি লাগে। ওই এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। তার ওপর কয়দিন পরপর খোঁড়াখুঁড়িতে সড়কের বেহাল অবস্থা হয়। ঝিগাতলা এলাকার বাসিন্দা নিলয় জানান, সকাল থেকে ভিজতে ভিজতে অফিসে গেছি, আবার ভিজেই ফিরে এসেছি। ঠান্ডা-জ্বর হওয়ার ভয় আছে। নতুন রাস্তায় পানির পরিমাণ বাড়ছে, কোমর পানি হতে সময় লাগবে না।
ঢাকার মিরপুর থেকে চাকরিজীবী পথচারী শাহীনূর রহমান বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া এই জলাবদ্ধতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ঢাকার নগরপরিকল্পনা কতটা দুর্বল, কতটা অপ্রস্তুত। প্রতি বছরই বর্ষা আসে, বৃষ্টি হয়, কিন্তু জলাবদ্ধতার এই দুঃখগাথা বদলায় না। আমরা শুধু দেখি, আকাশে মেঘ জমে, আর শহরের রাস্তায় জমে দুর্ভোগ।
বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রিকশাচালকরা: বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন রিকশাচালকরা। রাস্তায় যাত্রী নেই, ভাড়া মেলে না, আয়ের পথ বন্ধ। মালিবাগ এলাকায় দোকানের ছাউনির নিচে রিকশা ফেলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকজন চালক। তাদের একজন হামিদ। তিনি বলেন, লোকজন বের হয় না, তাই ভাড়া পাই না। রিকশার চাকা না ঘুরলে খাওয়াও জোটে না। কয়েকদিন ধরে যা বৃষ্টি হচ্ছে, এতে না খেয়ে থাকতে হবে মনে হয়। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা শাহিনুর রহমান বলেন, প্রতিবারই বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট ডুবে যায়। এবারও একই অবস্থা। একদিনের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা। বাসা থেকে বের হতে পারি না। সিটি করপোরেশন শুধু আশ্বাস দেয়, কাজ করে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার জানালেন, সকাল থেকে যানবাহন পেতে খুব কষ্ট হয়েছে। তার ওপর রাস্তায় যানজট, সময়মতো ক্লাসে পৌঁছানোও কঠিন। বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চালকরাও। একজন যাত্রী জানান, মোহাম্মদপুর থেকে মতিঝিল যাওয়ার জন্য রাইড বুক করেছিলেন। কিন্তু যানজটে আটকে শাহবাগেই নামতে হয়েছে। চালক জানান, গত তিনদিন ধরে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করছি। আজও সকাল থেকে কোনো ভাড়া পাচ্ছি না। এখন শরীর খারাপ লাগছে।
পানিতে থৈ থৈ মাতুয়াইল-মৃধাবাড়ি: টানা বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ মাতুয়াইল-মৃধাবাড়ি এলাকা। বিশেষ করে মাতুয়াইল কবরস্থান সড়ক এবং আশপাশের এলাকা হাঁটু পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কবরস্থানে লাশ নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া, ডিএনডির খালে বাঁধের কারণেও কিছু এলাকা সারা বছরই পানিবন্দি থাকে। একই অবস্থা কাজলা, শেখদী, দোলাইর পাড়, দনিয়া, জুরাইন, শ্যামপুর, মোহাম্মদবাগ, কদমতলী, মেরাজনগর, রায়েবাগ, মাতুয়াইলসহ আশেপাশের এলাকা ।
তবে টানা বৃষ্টিতে মাতুয়াইল শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রবেশ পথ থেকে হাসপাতালের অভ্যন্তরের রাস্তায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিতে হাঁটু সমান পানি জমেছে রাস্তায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগী ও চিকিৎসকরা। এদিন দেখা যায়, হাসপাতালের ভবন ব্যতীত চারপাশে পানি থৈ থৈ করছে। মনে হয় এ যেন দ্বীপের মধ্যে এক ভবন। হাসপাতালের চারপাশে গভীর জলাশয় না সড়কও আছে দূরদুরান্ত থেকে হঠাৎ আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের বুঝে ওঠাই মুশকিল। কাপড় ভিজিয়ে অথবা রিকশায় করে হাসপাতালে ঢুকতে হচ্ছে তাদের। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছেন তাইমুন ইসলাম রায়হান। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের রাস্তাগুলো হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে মাতুয়াইল শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউটে এসেছেন সালমা। তিনি বলেন, এত বড় একটা হাসপাতাল, অথচ সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোনো রকমে হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারলেও বের হওয়ার সময় কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না। ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে রোগীর স্বজনদের কাপড় ভিজিয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে মাতুয়াইল শিশু-মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, ৪-৫ বছর আগে হাসপাতালের ড্রেনেজের কাজ করা হয়। এরপর থেকে জলাবদ্ধতা হয়। কি কারণে এমনটি হচ্ছে তা অনুসন্ধান করে বের করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাজ করার সময় ঠিকাদার ড্রেনের ভেতরে বালুর বস্তা রাখা হয়েছিল। সেসব বস্তা আর সরানো হয়নি। যার জন্য সামান্য বৃষ্টিতেই এ জলাবদ্ধতা হচ্ছে। ওই বস্তাগুলো সরানোর কাজ চলছে। আশা করি, এখন আর জলাবদ্ধতা হবে না। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কাজ করছে বলে জানিয়েছে ডিএসসিসি এবং ডিএনসিসি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান বলেন, ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ড ভিত্তিক ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকার কোথাও অস্থায়ী জলাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হলে, ডিএসসিসির কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯-৯০০৮৮৮ নাম্বারে ফোন করে জানালে জলাবদ্ধতা নিরসনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানায়, তারা জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশনের কাজ করছে। তবে বাস্তব চিত্রে অনেক জায়গায় তাদের কার্যক্রম দৃশ্যমান ছিল না। নাগরিকরা অভিযোগ করেছেন, এই সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের উদ্যোগ পর্যাপ্ত নয়, বরং বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই ড্রেন ও খাল পরিষ্কারের যে কাজ হওয়া উচিত, তা বারবার অবহেলার শিকার হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (আজ) রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ বৃষ্টি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে সর্বোচ্চ ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ